মেরাজের রাতের সম্পূর্ণ ঘটনা
সিরাতুন নবী (সাঃ) অনুযায়ী-
ইসরা:
মেরাজের শুরুতে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে কাবা থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস (জেরুজালেম) পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। এই ভ্রমণকে 'ইসরা' বলা হয়।
[সূরা আল-ইসরা (১৭:১)]
পবিত্র এবং মহিমান্বিত তিনি, যিনি তাঁর বান্দাকে এক রাতে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ করিয়েছেন।
বুরাকে চড়া:
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে 'বুরাক' নামক এক অলৌকিক প্রাণীতে চড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এই প্রাণীটি ছিল ঘোড়া ও খচ্চরের মধ্যবর্তী আকারের।
বায়তুল মুকাদ্দাসে নামাজ আদায়:
বায়তুল মুকাদ্দাসে পৌঁছে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সেখানে নামাজ আদায় করেন। তিনি সেখানে সমস্ত নবীদের ইমাম হিসেবে নামাজ আদায় করেন।
মেরাজ - আকাশে ভ্রমণ:
বায়তুল মুকাদ্দাস থেকে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে আসমানের ওপর নিয়ে যাওয়া হয়। এই ভ্রমণকে 'মেরাজ' বলা হয়। তিনি সাত আসমান ভ্রমণ করেন এবং প্রত্যেক আসমানে বিভিন্ন নবীর সাথে সাক্ষাৎ করেন।
প্রথম আসমান: আদম (আঃ) এর সাথে সাক্ষাৎ।
দ্বিতীয় আসমান: ইয়াহইয়া (আঃ) ও ঈসা (আঃ) এর সাথে সাক্ষাৎ।
তৃতীয় আসমান: ইউসুফ (আঃ) এর সাথে সাক্ষাৎ।
চতুর্থ আসমান: ইদ্রিস (আঃ) এর সাথে সাক্ষাৎ।
পঞ্চম আসমান: হারুন (আঃ) এর সাথে সাক্ষাৎ।
ষষ্ঠ আসমান: মুসা (আঃ) এর সাথে সাক্ষাৎ।
সপ্তম আসমান: ইব্রাহিম (আঃ) এর সাথে সাক্ষাৎ।
সিদরাতুল মুনতাহা:
এরপর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সিদরাতুল মুনতাহায় পৌঁছান, যা সপ্তম আসমানের শেষ সীমা।
আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ:
সিদরাতুল মুনতাহার পর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আরশে মওলায় পৌঁছান এবং সেখানে আল্লাহ তাআলার সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করেন।
নামাজের নির্দেশনা:
এই রাতে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর উপর ৫০ ওয়াক্ত নামাজ ফরয করা হয়েছিল। পরবর্তীতে মুসা (আঃ)-এর পরামর্শে তিনি আল্লাহর কাছে পুনরায় প্রার্থনা করেন এবং আল্লাহ তা ৫ ওয়াক্তে কমিয়ে দেন।
[সহীহ বুখারি - ৩৪৯]
মেরাজের রাতে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং আল্লাহ তাকে ৫০ ওয়াক্ত নামাজের আদেশ দেন। পরবর্তীতে মুসা (আঃ)-এর পরামর্শে আল্লাহ তা ৫ ওয়াক্তে কমিয়ে দেন।